
পলাশ বড়ুয়া ॥
১৫ আগষ্ট স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস’ ২০১৫ উপলক্ষে উখিয়া কলেজে ২ দিনব্যাপী কর্মসূচীর আলোকে ১৫ আগষ্ট সকালে জাতীয় পতাকা (অর্ধনির্মিত) উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণের মধ্য দিয়ে শোক দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। সকল শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে কলেজের প্রশাসনিক ভবন ফটক থেকে শুরু করে পুরো ক্যাম্পাস পদক্ষিণ শেষে কলেজ মিলনায়তনে আলোচনা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
অধ্যক্ষ ফজলুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উখিয়া-টেকনাফের মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব আবদুর রহমান উপস্থিত থাকার সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করলেও সঙ্গত কারণে উপস্থিত থাকতে পারেনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব হিল্লোল বিশ্বাস, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নুরুল ইসলাম চৌধুরী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিলন বড়ুয়া, জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, চেয়ারম্যান, ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন শীল।
শোক দিবসের তাৎপর্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন ছিলেন, উপাধ্যক্ষ মো: আবদুল হক, অধ্যাপক অজিত কুমার দাশ, প্রভাষক শাহ আলম, প্রভাষক আলমগীর মাহমুদ, প্রভাষক এনামুল হক, অধ্যাপক তহিদুল আলম, উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোছ্ইান মিথুন।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, অধ্যাপক ফরিদুল আলম, অধ্যাপক সবুজ শাহরিয়ার, অধ্যাপক রফিকুল আলম চৌধুরী, প্রভাষক নবী হোছাইন, প্রভাষক আব্দুল জলিল, প্রভাষক ড. গিয়াস উদ্দিন, প্রভাষক খুরশেদ আলম, প্রভাষক আবু তাহের, প্রভাষক রাজু আরা বেগম, প্রভাষক কামরুন নাহার, প্রভাষক জয়ন্তী রানী মুজুমদার, প্রভাষক জালাল উদ্দিন, প্রভাষক আমানত উল্লাহ, শরীরচর্চা শিক্ষক মো: ইকবাল, প্রধান সহকারী আবদুর রহিম, হিসাবরক্ষক জিয়াউল হক আইটি কর্মকর্তা পলাশ বড়ুয়া, কর্মকর্তা শামশুল আলম, সাধন বড়–য়া, মনিন্দ্র বড়ুয়া, সুভাষ বড়–য়া, নিলু বড়–য়া, নুরুল ইসলাম।
শোক দিবসের তাৎপর্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদৎ বার্ষিকীতে বক্তারা বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন “রক্তদিয়ে আমি বাঙ্গালী জাতির ঋণ শোধ করব। ঠিকই ধানমন্ডির ৩২নং বাড়িতে রক্ত দিয়ে বাঙ্গালি জাতির ঋণ শোধ করেছিলেন”। কি অপরাধ ছিল বঙ্গবন্ধুর ? অপরাধ ছিল একটি শুধুমাত্র পাকিস্তানীদের হাত থেকে বাঙালি মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষায় দেশের মানুষের মাঝে জাগরণ সৃষ্টি করেছিল। এ সময় বক্তারা আরও বলেন শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে উখিয়া কলেজে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপন করা অতীব জরুরী তাই অতি শীঘ্রই এটা প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানান কলেজের গভর্ণিং বডির সদস্য ও অধ্যক্ষ মিলন বড়–য়া এবং জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।
আলোচনা সভা শেষে ১৩ আগষ্ট অনুষ্ঠিত নির্ধারিত বক্তৃতা ও রচনার বিষয় “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ” প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার তুলে দেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিল্লোল বিশ্বাস, এনআই চৌধুরী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিলন বড়–য়া, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন, একাদশ শ্রেণির মানবিক শাখার ছাত্র আক্কাস উদ্দিন, গীতা থেকে পাঠ করেন রঞ্জন ঘোষ, ত্রিপিটক পাঠ করেন একাদশ মানবিক শাখার ছাত্র মাইকেল বড়–য়া।
পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, শোক দিবস উদ্যাপন পরিষদের সদস্য ও প্রদর্শক প্লাবন বড়–য়া।
১৫ আগষ্ট যাঁরা শাহাদৎ বরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং উক্ত জাতীয় দিবসকে পালনে স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ ও সার্বিক সহযোগিতার জন্য সকল শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদেরকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অধ্যক্ষ ফজলুল করিম ও শোক দিবস উদ্যাপন পরিষদের আহবায়ক প্রভাষক জালাল উদ্দিন, সদস্য প্লাবন বড়–য়া ও প্রভাষক আমানত উল্লাহ।
পাঠকের মতামত